টেলিফোন ইতিহাসের ইতিহাস

টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস

আদিম যুগের মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কোন তথ্য পাঠানোর জন্য মানুষ পায়ে

হেঁটে সেই দূরত্ব অতিক্রম করত যাতে অনেক সময় লাগতো এবং অনেক কঠিন রাস্তা অতিক্রম

করতে হতো রাজা-মহারাজাদের আমলে অনেকে আবার পায়রা পাগলের ব্যবহার করত তবে |


তাতে অনেক সময় সেই পাখি সঠিক স্থানে পৌঁছাতে পারতো না বা শত্রুপক্ষ সে পাখিটিকে কব্জা

করে তথ্য সংগ্রহ করে নিত ধীরে ধীরে এই তথ্য পাঠানোর পদ্ধতি তে অনেক উন্নতি হয় এরপর

আসে

টেলিফোন ইতিহাসের ইতিহাস
টেলিফোন ইতিহাসের ইতিহাস


ডাক ব্যবস্থা 

যেখানে ডাক টিকিটের মাধ্যমে সংগঠিতভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চিঠি আদান-প্রদান করা
হতো কিন্তু এইসব পদ্ধতি ছিল একতরফা তাই বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরে এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করতে
চাইছিলো যে দুজন ব্যক্তি অনেক দূরে থেকেও একে অপরের সাথে কথা বলতে 
পারবে ফলে আঠারোশো শতাব্দি শুরু থেকেই এই রকম একটি যন্ত্র আবিষ্কারের চেষ্টা শুরু হয়ে যায়
আর সর্বপ্রথম 1876 সালে টেলিফোন আবিষ্কার করেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তবে
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে কোন আবিষ্কার একদিনে সম্ভব হয়নি তার জন্য বহু বিজ্ঞানীদের নিরলস 


পরিশ্রম যুক্ত আছে এমনকি গ্রাহাম বেল কি আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন তো বন্ধুরা আপনাদের

সাথে আজকের টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস আপনাদেরকে জানাবো তাই অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়েন .

বর্তমানে যে টেলিফোন

আমরা ব্যবহার করি তাদের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় শব্দ প্রেরণ করা হয় রবার্ট হুক 1667 সালে একটি টেলিফোন বানান তিনি একটি তারের দুদিকে দুটো প্রিন্সিপাল লাগান এরপর আরেক দিকে যখন কেউ কথা বলত তখন সেটা অন্য পাশের ব্যক্তি শুনতে পারতো |

আজকাল অনেক ছোট বাচ্চারা এই ধরনের টেলিফোন পানিসারা করে এই যন্ত্রের মাধ্যমে শব্দ তারের

মধ্য দিয়ে তরঙ্গের আকারে অন্যপাশে পৌছাতো এরপর 1816 সালে ফ্রান্সের |


একজন বিজ্ঞানী একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র আবিষ্কার করেন ইলেকট্রিসিটির মাধ্যমে এক জায়গা

থেকে অন্য জায়গায় কোন তথ্য প্রেরণ করা যেত অনেক বেশি দূরত্বে তথ্য পাঠানো যেতো তবে এটি সমস্যা ছিল একবারে একটির বেশি তথ্য পাঠানো যেতো না আর এতে পাঠানো তথ্যগুলো কোডিং করতে হতো |

এরপর 1861 সালে একজন জার্মান ইঞ্জিনিয়ার শব্দ পাঠানোর জন্য একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন


এবং তিনি এটির নাম রাখেন টেলিফোন তিনি মনে করতেন ইলেকট্রিসিটির মাধ্যমে

কোন শব্দকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো সম্ভব আর এই নীতির উপর ভিত্তি করেই |


 তিনি তার টেলিফোন যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন তবে টেলিফোন একটি সমস্যা ছিল এতে

পাঠানো শব্দ একতরফা ছিল এমনকি এতে পাঠানো শব্দ খুবই অস্পষ্ট ছিল ফলে

এই যন্ত্র মানুষের মধ্যে তেমন

সাড়া ফেলতে পারেনি এরপর আরেকজন ইটালিয়ান বিজ্ঞানী 1877 সালে টেলিফোন

আবিষ্কার করেছিলেন


তিনি নতুন যন্ত্রের নাম রাখেন সাউন্ড টেলিগ্রাম তবেই |


যন্ত্রণা আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল 1847 সালে জন্মগ্রহণ করেন ছোটবেলা থেকেই তিনি

অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন মাত্র 13 বছর বয়সেই তিনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে ফেলেছিলেন


আলেকজান্ডার গ্রাহাম

বেলের মা এবং তার স্ত্রী দুজনেই ছিলেন অর্থাৎ যারা কানে শুনতে পেতেন না হলে

আলেকজান্ডারের মনে শব্দতরঙ্গ নিয়ে প্রথম থেকেই বেশ কৌতূহল ছিল |


তিনি দেখেন নাকি অনেকখানি তারের মাধ্যমে শব্দ গ্রহণ করেছেন তবে সেগুলো উপকারী ছিলনা

তখন নিজেই টেলিফোন আবিষ্কার এর সাথে যুক্ত হন আরে কাজের জন্য তিনি তার সাথে রাখেন

যার নাম ছিল mobile .তখন তারা দুজনেই বেশ কয়েক বছর ধরে

টেলিফোন আবিষ্কারের কাজ করছিলেন |


 কিন্তু তেমন একটা সফলতা পারছিলেন না 1876 সালের 10 মার্চ অন্যান্য দিনের মতো নিজের

কাজ করছিলেন এবং তারসাথে দোকান উপরে দোতালায় কাজ করছিলেন তখন কাজের ফাঁকে

হঠাৎ করে গ্রাহামবেলের প্যান্ট পড়ে যায় তখন তিনি সাহায্যের জন্য তলায় কাজ করছিলেন

 তিনি তার পাশে থেকে আওয়াজ শুনতে পান আর তারপর যা হয়েছে তা ইতিহাসের পাতায়

অমর হয়ে গেছে এই সফলতার পর গ্রাহাম বেল হাজার 1877 সালে টেলিফোন পেটেন্ট করা

এবং একটি টেলিফোন কোম্পানি খুলে ফেলেন আর সেই কোম্পানি বর্তমানে কি নামে পরিচিত |


 একদিনের মধ্যেই একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী দিনের ব্যবধানে টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন

তিনি কম্পানি নামে কেস করে দেন এই বলে যে চুরি করে নিয়েছে তবে আবিষ্কার করেছিলেন |


তাই শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিলেন এবং তাকে অফিশিয়ালি টেলিফোনের আবিষ্কারক

হিসেবে মান্য করা হয় এ ব্যাপারে কিছু তথ্য আপনাদেরকে জানাই প্রথম ট্রানস্কন্টিনেন্টাল কোন

দেশ থেকে অন্য দেশে প্রথম করা হয়েছিল 1915 সালে টেলিফোনের আবিষ্কারক হলেও

তিনি নিজের কাজের জায়গায় টেলিফোন ব্যবহার করতেন না কারণ তিনি মনে করতেন

তার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছ .


অফিশিয়ালি টেলিফোনের আবিষ্কারক


হিসেবে মান্য করা হয় এবার টেলিফোন এর
ব্যাপারে কিছু আশ্চর্য তথ্য আপনাদেরকে জানাই প্রথম ট্রানস্কন্টিনেন্টাল কল অর্থাৎ
এক মহাদেশ থেকে উপমহাদেশে প্রথম  হয়েছিল . 
1915 সালে গ্রাহাম বেল টেলিফোনের আবিষ্কারক হলেও তিনি নিজের কাজের জায়গায়
টেলিফোন ব্যবহার করতেন না কারণ তিনি মনে করতেন টেলিফোন তার কাজে ব্যাঘাত
সৃষ্টি করছে বর্তমানে আমরা যেকোনো ফোন কল রিসিভ করে হ্যালো শব্দটি সর্বপ্রথম
ব্যবহার করেছিলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল শারীরিক অসুস্থতার কারণে |


 বর্তমানে আমরা যে কোন ফোন করলে  সর্বপ্রথম থমাস এডিশন ব্যবহার করেছিলেন

আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল শারীরিক অসুস্থতার কারণে 1922 সালে দোসরা আগষ্ট মারা যান

তখন তার মৃত্যুর শোকে উত্তর আমেরিকার সমস্ত টেলিফোন লাইন 2 মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল |


ভারতে 1882 সালে ব্রিটিশ আমলে টেলিফোন এসেছিল তখন কলকাতা মাদ্রাজ এবং

বোম্বে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ খোলা হয়েছিল বর্তমানে স্মার্টফোন আসার পর

টেলিফোনের কমেছে কিন্তু মোবাইলে ব্যবহার করতে হয় তা কিন্তু টেলিফোনে

নেই আর এই মোবাইলে রেডিয়েশন

আমাদের শরীরে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে তবে সে দিকে বর্তমানে স্মার্টফোনে নতুন

নেই আচ্ছা আপনার কি মনে হয়

ভবিষ্যতে কি এমন দিন আসবে যখন মানুষ আবার টেলিফোন ব্যবহার করবে

আপনার মতামত অবশ্যই জানান |

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url